Skip to main content

ছোট কালো জাম: গ্রীষ্মের রসালো উপহার

কালো জাম, গ্রীষ্মের প্রিয় ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ছোট্ট কালো ফলটি স্বাদে মিষ্টি, রসালো এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। কালো জামের রসালো গুণের জন্য ছোট বাচ্চাদের কাছে এটি খুবই প্রিয়।

কালো জামের পুষ্টিগুণ

কালো জাম বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে:

 * ভিটামিন সি: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

 * আয়রন: রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে।

 * ফাইবার: হজম শক্ত করে।

 * অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: শরীরকে মুক্ত র‌্যাডিকেলের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

কালো জামের স্বাস্থ্য উপকারিতা

 * রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় কালো জাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

 * হজম শক্ত করে: কালো জামে থাকা ফাইবার হজম শক্ত করে এবং পেটের নানা সমস্যা দূর করে।

 * ত্বকের যত্ন: কালো জাম ত্বকের জন্যও উপকারী। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং বলিরেখা দূর করে।

 * হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: কালো জামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

কালো জাম কীভাবে খাওয়া যায়?

কালো জাম খাওয়ার নানা উপায় আছে। আপনি এটি সরাসরি খেতে পারেন, স্মুজি বা জুসে মিশিয়ে খেতে পারেন, যোগার্টের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা বেকারি পণ্য তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারেন।

কালো জাম কেনার সময় কিছু টিপস

 * ফলগুলো সতেজ দেখতে হবে: কেনার সময় ফলগুলো সতেজ এবং টকটকে দেখতে হবে।

 * নরম ফল এড়িয়ে চলুন: নরম ফল খাওয়া উচিত নয়।

 * ফলগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন: খাওয়ার আগে ফলগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

উপসংহার: কালো জাম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর ফল। এটি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।


Comments

Popular posts from this blog

ডাকাতিয়া নদী : কুমিল্লা

কুমিল্লা জেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদী এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ও সংস্কৃতির সাথে গভীরভাবে মিশে আছে। এটি কেবল একটি জলধারা নয়, বরং কুমিল্লার কৃষি, অর্থনীতি এবং ঐতিহ্যের নীরব সাক্ষী। মেঘনা নদীর এই শাখা নদীটি ত্রিপুরার পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে কুমিল্লার বুড়িচং, চান্দিনা, দেবিদ্বার, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট এবং বরুড়া উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে প্রবাহিত। নদীটির নামকরণের পেছনে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় ইতিহাস। স্থানীয় লোককথা অনুযায়ী, এককালে এই নদীতে নাকি জলদস্যুদের আনাগোনা ছিল। তারা নৌকায় করে এসে নিরীহ মানুষের ধন-সম্পদ লুট করত। সেই ভয়াল স্মৃতি থেকেই এই নদীর নাম হয় ডাকাতিয়া। একসময় ডাকাতিয়া নদী ছিল কুমিল্লার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। পাল তোলা নৌকা সারি সারি করে চলত, দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা আসতেন পণ্য নিয়ে। ধান, পাট, সবজি বোঝাই নৌকা নদীর ঘাটে ভিড় করত, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে সচল রাখত। বর্ষাকালে ডাকাতিয়া ভরে উঠত পানিতে, আর সেই ভরা যৌবনে নদী তার দুই কূলের মানুষের জীবনধারণের অন্যতম উৎস হয়ে উঠত। জেলেরা মাছ ধরত, কৃষকরা সেচের জন্য ব্যবহার করত নদীর জল। তবে সময়ের সাথে সাথে ডাক...

নয়ন জুড়ানো বর্ণিলতা: কাগজের ফুল বা বাগানবিলাস (Bougainvillea)

বাগান জুড়ে যখন রঙের মেলা বসে, তখন যে কয়েকটি লতানো গুল্ম আমাদের মন জয় করে নেয়, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো বাগানবিলাস বা কাগজের ফুল (Bougainvillea)। এর উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় ফুলগুলি যেকোনো উদ্যানকে এক মুহূর্তে রঙিন করে তোলে। যদিও এর ফুল আসলে ছোট এবং সাদাটে, তবে ফুলের চারপাশের উজ্জ্বল রঙের পাতা (ব্র্যাক্ট) এটিকে বিশেষভাবে আকর্ষণীয় করে তোলে। এই ব্র্যাক্টগুলি বিভিন্ন রঙে দেখা যায় – যেমন লাল, গোলাপি, বেগুনি, কমলা, হলুদ এবং সাদা। বাগানবিলাস মূলত দক্ষিণ আমেরিকার প্রজাতি। ব্রাজিল, পেরু এবং আর্জেন্টিনার মতো দেশে এর আদি নিবাস। তবে এর সৌন্দর্য এবং সহনশীলতার কারণে এটি এখন বিশ্বজুড়েই জনপ্রিয়। উষ্ণ ও হালকা শুষ্ক জলবায়ু এই গাছের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী, তাই বাংলাদেশেও এটি বেশ ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং প্রচুর ফুল দেয়। এই লতানো গুল্মটি খুব সহজেই বিভিন্ন আকারের টবে বা সরাসরি মাটিতে লাগানো যায়। এটি দেয়ালের পাশে, বারান্দায় কিংবা কোনো অবলম্বন দিয়ে সুন্দর একটি তোরণও তৈরি করতে পারে। বাগানবিলাসের পাতা কিছুটা ডিম্বাকৃতির এবং হালকা সবুজ রঙের হয়। এর ডালপালা কিছুটা কাঁটাযুক্ত হতে পারে। বাগানবিলাসের প্রধান আকর্ষণ হলো এর দীর্ঘস্...

গোলাপি গোলাপ: হৃদয়ের ভাষা, প্রকৃতির কবিতা

  গোলাপ, ফুলের রাণী। আর এই রাণীর রূপে যখন মেলে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, তখন তা হয়ে ওঠে আরও মায়াবী, আরও আবেগপূর্ণ। গোলাপি গোলাপ শুধু একটি ফুল নয়, এটি যেন প্রকৃতির লেখা এক নীরব কবিতা, যা হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতিগুলোকে স্পর্শ করে যায়। এর প্রতিটি পাপড়ি যেন সৌন্দর্যের এক একটি অধ্যায়, যা ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয় আর মুগ্ধ করে তোলে আমাদের মনকে। গোলাপি গোলাপের বিভিন্ন শেড বিভিন্ন অর্থ বহন করে। হালকা গোলাপি যেখানে তারুণ্য, মাধুর্য আর নম্রতার প্রতীক, সেখানে গাঢ় গোলাপি প্রকাশ করে গভীর কৃতজ্ঞতা, আন্তরিকতা আর স্বীকৃতির ভাব। কোনো প্রিয় বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাতে, নতুন সম্পর্কের শুভ সূচনা করতে অথবা কারো প্রতি আপনার মুগ্ধতা প্রকাশ করতে একটি গোলাপি গোলাপই যথেষ্ট। এর স্নিগ্ধ স্পর্শ আর মিষ্টি সুবাস যেন এক নীরব ভাষায় আপনার মনের কথা পৌঁছে দেয়। শুধু আবেগের প্রকাশ নয়, গোলাপি গোলাপ তার সৌন্দর্যের জন্যও বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। এর বিভিন্ন জাত আর আকারের ফুল বাগানকে দেয় এক মনোরম রূপ। ছোট ঝোপালো গোলাপ থেকে শুরু করে লম্বা লতানো গোলাপ, প্রতিটি প্রকারেরই নিজস্ব সৌন্দর্য রয়েছে। ভোরের শিশিরে ভেজা গোলাপি পাপড়ি অথবা পড়ন্ত বিকালের আলোয় রা...